Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

পি.এইচ.টি সেন্টার, রাজশাহীর পরিচিতি



১৯৬১ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা পরিদফতরের সৃষ্টি হয়। সেই বছরে সর্বপ্রথম পি.এইচ.টি সেন্টার, রাণীবাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী শহরের মাস্টারপাড়ায় এ্যাডঃ মোঃ আমজাদ হোসেন এর দ্বিতল ভবন ভাড়া নিয়ে আবাসিক ভাবে ৩০ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী (ছাত্রছাত্রী) এবং অনাবাসিকভাবে ৭ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী (ছাত্রছাত্রী) ২০ জন বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী (ছাত্রছাত্রী) ও ২৫ জন শারিরীক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে ১ম শ্রেণী হতে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত কার্যক্রম শুরু হয় এবং কারিগরী শাখায় ৬টি ট্রেড (আর্ট এন্ড পেন্টিং, লেদার, উইভিং, কার্পেন্টার, ছোবড়া, সেলাই) অর্ন্তভূক্ত করা হয়। কেবলমাত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য সাধারণ শিক্ষা ১ম শ্রেণী হতে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ব্রেইল পদ্ধতিতে এবং ট্রেড ছোবড়া চালু ছিল। পরবর্তীতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বাঁশ ও বেতের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ চালু করা হয়। জমি অধিগ্রহণ পূর্বক অত্র প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ করা হয় ১৯৬২ সনে। অত্র প্রতিষ্ঠানের জমির পরিমাণ ১.৮৪৩০ একর। ১৯৬২ সাল থেকেই দৃষ্টি ও বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পৃথক ২টি বিদ্যালয়, ওয়ার্কসপ ভবন, ৩০ জন বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী ও ৩০ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্রদের জন্য ০২টি দ্বিতল ছাত্রাবাস ভবন নির্মিত হয়। ১৯৬৫ সনে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। ১৯৮৩ সালে ২০ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্রীর জন্য দ্বিতল ছাত্রী নিবাস নির্মিত হয়।

১৯৬১ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা পরিদফতরটিই ১৯৮৪ সালে সমাজসেবা অধিদফতর হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে এবং অদ্যাবধি অত্র পি.এইচ.টি সেন্টার, রাজশাহী সমাজসেবা অধিদফতর এর আওতাধীন পরিচালিত হয়ে আসছে। ২০০৪ সালে দৃষ্টি ও বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের কল্যাণার্থে বিদ্যালয়টিকে ৮ম পর্যন্ত উন্নীত করা হয় এবং ৫০ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্রী ও ৫০ জন বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছাত্রীদের জন্য তিনতলা বিশিষ্ট আবাসিক ০২টি ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে ৭০ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্রী, ৩০ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্র, ৫০ বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছাত্রী ও ৩০ জন বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছাত্র এর আবাসিক সুবিধা আছে এবং ২০ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্র/ছাত্রী ও ২০ জন বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছাত্র/ছাত্রীর অনাবাসিক ভাবে লেখাপড়ার সুবিধা আছে। প্রতিবন্ধীদের সাধারণ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পূনর্বাসনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। বর্তমানে ৭ জন দৃষ্টি  প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ও ৬৬ জন বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আবাসিক ভাবে এবং ৪ জন দৃষ্টি  প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ও ১৭ জন বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী অনাবাসিক ভাবে লেখাপড়া করছে। প্রতিষ্ঠান শুরু হতে এ পর্যন্ত ভর্তির সংখ্যা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ৩৫৫ জন এবং বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী ৭৬৯ জন।